এভাবেও ভালোবাসা যায়

44

ঐন্দ্রিলা শর্মা ও সব্যসাচী চৌধুরীর সম্পর্ককে বন্ধুত্ব বা ভালোবাসা যাই নাম দেওয়া যায় না কেন সে এক নজিরবিহীন বন্ধন।

দ্বিতীয়বার যখন ঐন্দ্রিলা ক্যান্সার আক্রান্ত হলেন নৃশংকোচে বলা যেতে পারে সেই সময় তাঁর সাপোর্ট সিস্টেম হয়ে শক্ত করে তাঁর হাত ধরেছিলেন মহাপীঠ তারাপীঠ খ্যাত অভিনেতা সব্যসাচী। অভিনেত্রী প্রথম থেকেই লড়াকু আর তাঁর পাশে থেকে বরাবর মনের জোর ও সাহস যুগিয়ে চলেছেন অভিনেতা। চলতি বছরের ১লা নভেম্বর আচমকা ব্রেন স্টোক হয়ে ঐন্দ্রিলা অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান সব্যসাচী। সেই থেকেই নাওয়া খাওয়া ভুলে কাছের মানুষটিকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টায় তাঁর লড়াইয়ের দোসর হয়ে হাসপাতালে তাঁর পাশে রয়েছেছেন অভিনেতা সব্যসাচী।

৪নভেম্বর সব্যসাচী ফেসবুকে লেখেন, “নিজের হাতে করে ওকে নিয়ে এসেছিলাম। নিজের হাতে করেই ওকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যাব।এর অন্যথা হবে কিছু না।”

৭নভেম্বর তাঁর পোস্ট,”… আমি দিনে তিনবার করে গল্প করি ঐন্দ্রিলার সঙ্গে। গলা চিনতে পারে। হাত মুচড়ে আমার হাত ধরার চেষ্টা করে…। “

১৪নভেম্বর সকলকে অভিনেত্রীর জন্য প্রার্থনা করার আবেদন করেছেন সব্যসাচী। যাতে মিরাকেল হয় এবং ঐন্দ্রিলা ফিরে আসেন, এই কামানা করেছেন।

ঐন্দ্রিলা ও সব্যসাচীর প্রতিটি ছবিই কিন্তু পজিটিভিটি বাড়ায়। বরাবর একই ভাবে ঐন্দ্রিলার লড়াইয়ে তাঁর পাশে থেকে লড়াই করে চলেছেন সব্যসাচী নিজেও। তাঁর এই অদম্য সাহস ও মনের জোরকে কুর্নিশ জানাচ্ছেন নেটিজেনরা।

একদিকে যখন নেট দুনিয়া আঁতকে উঠেছে ভালোবাসার বিভৎস পরিণতি দেখে। প্রেমিকের হাতে প্রেমিকার ভয়াবভ মৃত্যু এবং খুন করে দেহ ৩৫টুকরো।

আর অপরদিকে দিনরাত এক করে ভালোবাসায়, প্রাথর্ণায় চোখের জলে, হৃদয়ের আকুতিতে  তিল তিল করে কাছের মানুষটিকে বাঁচিয়ে তোলার চেষ্টা ।

আজকের দিনে সব্যসাচী ও ঐন্দ্রিলার এমন একাত্মা হয়ে লড়াই করাটা নিঃসন্দেহে এক নজিরবিহীন ঘটনা।

তিতাস

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here