প্রসেনজিতের এই আমন্ত্রণ পেয়ে অনেকেরই মনে হয়েছে, মেঘ না চাইতেই জল। সোশ্যাল মিডিয়ায়, লোকমুখে এত প্রশংসা, তাই-ই দেখার ইচ্ছা অনেকেরই হয়েছিল।ঠিক যেন নিমন্ত্রণ বাড়ি, ঢোকার মুখে দুই ছোট্ট ছেলের হাসি-হাসি মুখের পোস্টার। এদের চেনেন? এই দুই ছোট্ট ছেলেই তো মাতিয়ে দিয়েছে রুপোলি পর্দা। অন্তত শহরের বিভিন্ন প্রান্তে এযাবৎ যেসব স্পেশাল স্ক্রিনিংয়ের আয়োজন করা হয়েছে এ ছবির, সেসব স্ক্রিনিংয়ে এই দুই খুদে -আশিক শেখ ও আরিফ শেখের -অভিনয় দেখে উচ্চ দর্শক। ঠিক ধরেছেন, হচ্ছে “দোস্তজী”সিনেমার কথা। ‘দোস্তজী’র পোস্টারে চোখ পড়লে য়ে কোনও অতিথি, অভ্যাগত কিছুক্ষণ আটকে যাবেন। রাধা স্টুডিয়োয় ছবির নিবেদক প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় স্পেশাল স্কিনিংয়ের ব্যবস্থা করেন সোমবার রাত আটটার পর। সবাই থমকে যাছিলেন স্ট্যান্ডির কাছে এসে। রঞ্জিত মল্লিক থেকে দেবলীনা। পোস্টারে চোখ পড়লেই মুখে নির্মল হাসি চলে আসবে আপনাআপনি। পোস্টারটাই এরকম তাহলে ছবিতে না জানি কী আছে। অতিথিদের জন্য গেটে দাঁড়িয়েছিলেন নবীন পরিচালক প্রসূন চট্টোপাধ্যায়। ‘বুম্বাদা’ এসেই টেনে নিলেন বুকে।ছবির নিবেদক প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের কথায়,”আমাদের নবীন পরিচালক একটা ভালো ছবি করেছেন। বহু মঞ্চে সম্মান পেয়েছে এবং পাচ্ছে এই ছবি। একবার সময় করে এসে দেখে যাও।” গত সপ্তাহে নিজের বালিঞ্জের বাংলো ‘উৎসব’-এ রেড কার্পেট পেতে সিনেমার দুই দোস্তকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন ‘বুম্বাদা’। সম্প্রতি মালেশিয় গোল্ডেন গ্লোবাল অ্যাওয়ার্ডে সেরা অভিনেতার পুরস্কার জিতে নিয়েছে ছবির দুই শিশুশিল্পী আশিক ও আরিফ। সেই পুরস্কারই সেদিন তাদের হাতে তুলে দিয়েছিলেন প্রসেনজিৎ। ছবির ট্রেলারমুক্তিও হয়েছিলো তাঁর হাত ধরেই। এ ছবির ট্রেলার দেখে আবেগে আপ্লুত হয়ে গিয়েছেন স্বয়ং অমিতাভ বচ্চন। টুইট করে সেই ট্রেলার শেয়ারও করেছিলেন বিগ বি।
তিতাস