ভালোবাসা আর যাই হোক, তাসের ঘর নয়

43

কিছুদিন আগে একদিকে যখন নেট দুনিয়া আঁতকে উঠেছিলো প্রেমিকের হাতে প্রেমিকার ভয়াবভ মৃত্যু এবং খুন করে দেহ ৩৫ টুকরো, ভালোবাসার এমন বিভৎস পরিণতি দেখে।

 অপরদিকে আবার মন শান্ত হয়ে যেত এমন খবর দেখে- দিনরাত এক করে ভালোবাসায়, প্রাথর্ণায় চোখের জলে, হৃদয়ের আকুতিতে  তিল তিল করে কাছের মানুষটিকে বাঁচিয়ে তোলার চেষ্টা ।

আজকের দিনে সব্যসাচী ও ঐন্দ্রিলার এমন একাত্মা হয়ে লড়াই করাটা ছিল নিঃসন্দেহে এক নজিরবিহীন ঘটনা।

যদিও জীবনের লড়াইটা আচমকা থেমে গেল ঐন্দ্রিলার। জীবন যুদ্ধে হেরে গেলেও নিঃসন্দেহে বলা যেতে পারে ভালোবাসার ময়দানে তিনি জয়ী। প্রেমের রাজত্বে রানীর মত প্রেমিকের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে, পায়ে -মাথায় চুম্বন এঁকে পঞ্চভূতে বিলীন হয়ে গেলেন ঐন্দ্রিলা।

 শুধুমাত্র ভালোবাসার জোরেই অলৌকিক শক্তির সাথে লড়াই করে তাঁর প্রেমিকাকে বাঁচিয়ে রাখার সাহস দেখিয়েছিলেন সব্যসাচী। যদিও শেষ রক্ষা আর হলোনা। ইহলোকের সকল মায়া ত্যাগ করে না ফেরার দেশে চলে গেলেন ঐন্দ্রিলা।

তবুও তাঁদের এই সম্পর্ককে বন্ধুত্ব বা ভালোবাসা যাই নাম দেওয়া যায় না কেন সে এক নজিরবিহীন বন্ধন। সব্যসাচীর এই অদম্য সাহস ও মনের জোরকে কুর্নিশ জানাই হৃদয় থেকে।

এই একই দিনে দেখা গেল, আসামে মৃত প্রেমিকার মাথায় সিঁদুর পড়ালেন প্রেমিক বিতোপন। একপ্রকার মালাবদলও সারলেন তাঁর সাথে এবং জড়িয়ে ধরে কপালে চুম্বন এঁকে যেন সাত জন্মের ব্ন্ধনে আবদ্ধ করেনিলেন। বিতোপন বললেন-এটাই তাঁর হৃদয়ের প্রকাশ।

এই দুই ঘটনা এবং এমন প্রেমিক যুগল দেখে আজ একথা জোর গলায় বলা যায় যে, আজকের এই কঠিন পৃথিবীতে ভালোবাসা এখনও বেঁচে আছে। যদি তুমি প্রেমিক হতে চাও তবে সব্যসাচীর মত হও, হও বিতোপনের মত।

আজ স্বার্থের খেলায় মত্ত এই দুনিয়ায় তাঁরা প্রমাণ করে দিলেন ভালোবাসা আর যাই হোক তাসের ঘর নয়।

প্রিয় মানুষকে হারানোর যন্ত্রণা সহ্য করার ক্ষমতা আসুক তাঁদের মধ্যে এই প্রার্থনা করি।

এভাবেই বেঁচে থাকুক ভালোবাসার প্রতি বিশ্বাস আর বেঁচে থাকুক সকল ভালোবাসা।।

তিতাস

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here