কিছুদিন আগে একদিকে যখন নেট দুনিয়া আঁতকে উঠেছিলো প্রেমিকের হাতে প্রেমিকার ভয়াবভ মৃত্যু এবং খুন করে দেহ ৩৫ টুকরো, ভালোবাসার এমন বিভৎস পরিণতি দেখে।
অপরদিকে আবার মন শান্ত হয়ে যেত এমন খবর দেখে- দিনরাত এক করে ভালোবাসায়, প্রাথর্ণায় চোখের জলে, হৃদয়ের আকুতিতে তিল তিল করে কাছের মানুষটিকে বাঁচিয়ে তোলার চেষ্টা ।
আজকের দিনে সব্যসাচী ও ঐন্দ্রিলার এমন একাত্মা হয়ে লড়াই করাটা ছিল নিঃসন্দেহে এক নজিরবিহীন ঘটনা।
যদিও জীবনের লড়াইটা আচমকা থেমে গেল ঐন্দ্রিলার। জীবন যুদ্ধে হেরে গেলেও নিঃসন্দেহে বলা যেতে পারে ভালোবাসার ময়দানে তিনি জয়ী। প্রেমের রাজত্বে রানীর মত প্রেমিকের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে, সিঁথি রাঙিয়ে, তাঁর হাতের পুষ্পমালা গলায় পড়ে, পায়ে -মাথায় চুম্বন এঁকে পঞ্চভূতে বিলীন হয়ে গেলেন ঐন্দ্রিলা।
তাঁদের দেখে আজ একথা জোর গলায় বলা যায়,এই কঠিন পৃথিবীতে ভালোবাসা আজও বেঁচে আছে। যদি তুমি প্রেমিক হতে চাও তবে সব্যসাচীর মত হও। যিনি শুধুমাত্র ভালোবাসার জোরে অলৌকিক শক্তির সাথে লড়াই করে তাঁর প্রেমিকাকে বাঁচিয়ে রাখার সাহস দেখিয়েছিলেন। যদিও শেষ রক্ষা আর হলোনা। ইহলোকের সকল মায়া ত্যাগ করে না ফেরার দেশে চলে গেলেন ঐন্দ্রিলা।
তবুও তাঁদের এই সম্পর্ককে বন্ধুত্ব বা ভালোবাসা যাই নাম দেওয়া যায় না কেন সে এক নজিরবিহীন বন্ধন। আজ স্বার্থের খেলায় মত্ত এই দুনিয়ায় তাঁরা প্রমাণ করে দিলেন ভালোবাসা আর যাই হোক তাসের ঘর নয়।
সব্যসাচীর এই অদম্য সাহস ও মনের জোরকে কুর্নিশ জানাই হৃদয় থেকে। প্রিয় মানুষকে হারানোর যন্ত্রণা সহ্য করার ক্ষমতা আসুক তাঁর মধ্যে এই প্রার্থনা করি।
এভাবেই বেঁচে থাকুক ভালোবাসার প্রতি বিশ্বাস আর বেঁচে থাকুক সকল ভালোবাসা।।
তিতাস