মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রের ছেলে কার্তিক আরিয়ান মুম্বইয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সময় থেকেই বলিউডে অভিনয় করার স্বপ্ন দেখেন। আর ২০১১সালে তাঁর এই স্বপ্ন পূরণ হয়। এরপর কেটে যায় প্রায় ১২টা বছর। তিনি মহানগরীর চলচ্চিত্র জগতে অন্যতম সেরা তারকা কার্তিক আরিয়ান। বুধবার কলকাতায় এসেছিলেন তাঁর পরবর্তী ছবি ‘শেহজাদা’র প্রচারে। তিনি জানালেন কলকাতার মানুষের উষ্ণ অভ্যর্থনা তাঁকে বারবার এই শহরে ফিরিয়ে আনে।

‘ভুলভুলাইয়া ২’ খ্যাত অভিনেতাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, সাফল্যের পর কতটা পরিবর্তন এসেছে তাঁর জীবনে? কার্তিকের উত্তর,”কিছুই বিশেষ পাল্টায়নি। প্রথমদিন থেকে যেমন ছিলাম, এখনও তেমনই আছি। ভবিষ্যতেও তেমনই থাকব। পরিস্থিতি কিছুটা বদলেছে এই যা। ” ইন্ডাস্ট্রির বাইরে থেকে এসে একের পর এক অডিশন দিয়েছেন, কখনও লাইন টপকে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পাননি। যথেষ্ট পরিশ্রম করেই ইন্ডাস্ট্রিতে তিনি তাঁর জায়গা করে নিয়েছেন এবং তাঁর এই জার্নি নিয়ে তিনি বেশ গর্বিত। তাঁর কথায়, “আমি শুধু চাই আমার চারপাশের মানুষ যেন বদলে না যান। ‘ইয়েস স্যার’ বলা মানুষ আমি আমার চারপাশে চাইনা।” নিজের পেশায় শীর্ষে পৌঁছানোর জন্য এখনও অনেক রাস্তা চলা বাকি, এখনও অনেক কিছু শেখা বাকি, এখনও অনেক পরিশ্রম করা বাকি। তবে পরিশ্রম করতে তিনি কখনও পিছুপা হননি এবং ভবিষ্যতেও হবেননা সেকথা জানালেন পর্দার ‘শেহ্জাদা’।

শুধু অভিনেতা হিসাবে নয়, ‘শেহজাদা’ ছবিতে তাঁকে প্রযোজক হিসাবেও দেখা যাবে। আর প্রযোজক হিসাবে এটাই তাঁর প্রথম ছবি।
এদিকে মুক্তির তিনসপ্তাহ পরেও পাঠান সমান সমাদৃত। পেক্ষাগৃহ গুলি এখনও ‘পাঠান’ ময়।
তাই ছবির মুক্তি নিয়ে কি চিন্তিত কার্তিক? এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন,”আমাদের বিশ্বাস আমরা একটা ভালো ছবি বানিয়েছি, সেই ছবি নিয়ে আমরা আত্মবিশ্বাসী।” ২০১৯সালের ‘লুকা ছুপি’র পর ফের এই ছবিতে জুটি বেঁধেছেন কার্তিক আরিয়ান ও কৃতি শ্যানন। অভিনেতার বিশ্বাস, ‘লুকা ছুপি’ যেমন দর্শকদের ভালো লেগেছিলো, ‘শেহজাদা’ কেও দর্শক ভালোবাসবেন।
আগামী ১৭ফেব্রুয়ারী পেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে কার্তিক আরিয়ানের অভিনীত ও প্রথম প্রযোজিত ছবি ‘শেহজাদা’।
তিতাস