দক্ষিণ কলকাতার উত্তম মঞ্চে হয়ে গেল একটি মনমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক সান্ধ্য অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানটির নাম-“কেবল খেলা”।

102

রবিবার, ৫ মার্চ ২০২৩: দোল-পূর্ণিমার ঠিক দু’দিন আগে, রবিবার, ৫-ই মার্চ, ২০২৩-এ দক্ষিণ কলকাতার উত্তম মঞ্চে হয়ে গেল একটি মনমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক সান্ধ্য অনুষ্ঠান। এর আয়োজক ছিলেন জিটাটেল প্রাইভেট লিমিটেড। অনুষ্ঠানটির নাম- কেবল খেলা। অনুষ্ঠান- টি ছিল দু’টি ভাগে বিভক্ত।

প্রথম পর্বের নাম ছিল- ভাবে-অনুভবে রবীন্দ্রনাথ। রবীন্দ্রনাথের গানে ছিলেন শ্রধ্যেয়া শ্রাবণী সেন এবং অত্যন্ত প্রতিভাময়ী নবীন সঙ্গীতশিল্পী পৌলমী মজুমদার ইমাম। এই অনুষ্ঠানে ভাষ্য পাঠ এবং রবীন্দ্রনাথের কবিতা আবৃত্তি-তে ছিলেন এ বঙ্গের অন্যতম সেরা বাচিক শিল্পী রায়া ভট্টাচার্য। নৃত্য ছিলেন মধুবনী চট্টোপাধ্যায়। অনুষ্ঠানের ভাষ্য লিখেছেন সুমন্ত্র সান্যাল। অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী গান ছিল শ্রাবণী সেনের কন্ঠে, ‘চোখের আলোয় দেখেছিলেম’… তাঁর কন্ঠে অন্য মাত্রা পায় “ওগো, তোরা কে যাবি পারে’, ‘আহা তোমার সঙ্গে প্রাণের খেলা’, ‘দাঁড়িয়ে আছ তুমি আমার’ প্রভৃতি গান। অন্যদিকে পৌলমী সুবিচার করলেন তাঁর রবীন্দ্রগানের শিক্ষার উপর, চর্চার উপর, অনুশীলনের উপর। তাঁর কন্ঠে অনন্য হয়ে উঠলো ‘গান আমার যায় ভেসে যায়’ “ছিন্ন পাতার সাজাই তরণী’, ‘আমার খেলা যখন ছিল’, ‘কোন্ খেলা যে’ এবং আরও কিছু রবীন্দ্রনাথের গান ।

অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্ব, আমরা সবাই জানি যে, একদা বিখ্যাত এক প্রভাতী অনুষ্ঠান ‘আজ সকালের আমন্ত্রণে’-কে জানাতে চাওয়া একটি ট্রিবিউট। এই পর্বের সঞ্চালক হিসেবে ছিলেন সেই অনুষ্ঠানের-ই অন্যতম জনপ্রিয় সঞ্চালক মল্লিকা মজুমদার। আড্ডা, গল্পে তিনি ছিলেন বিশিষ্ট সঙ্গীত-শিল্পী প্রবুদ্ধ রাহার সঙ্গে। প্রবুদ্ধ রাহা ছিলেন বিবিধ গানের সমাহার নিয়ে। শুরু তিনি করেন রবীন্দ্রগান দিয়েই, ‘একটুকু ছোঁয়া লাগে’… তারপর ‘গানে ভুবন ভরিয়ে দেবে’, ‘শোনো বন্ধু শোনো’, ‘বিস্তীর্ণ দু’পারে’, ‘বর্ণে গন্ধে ছন্দে’, ‘আমার গানের স্বরলিপি’, ‘মধুর আমার মায়ের হাসি’ ইত্যাদি কালজয়ী বাংলা আধুনিক গানে অনায়াস, সাবলীল, পারদর্শী বিচরণ করলেন তিনি ‘আজ সন্ধের আমন্ত্রণে’ অংশে। শ্রোতাদের মন, মেজাজ ভরিয়ে দিলেন, ঋদ্ধ করলেন তিনি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here