এক ম্যাজিসিয়ান থেকে গোয়েন্দা হয়ে ওঠার গল্প…’রিভলবার রহস্য’

138

ড্যানি ডিটেকটিভকে সঙ্গে নিয়ে ফের বড় পর্দায় আসছেন অঞ্জন দত্ত। এবারে তাঁর বাজি গোয়েন্দা সুব্রত শর্মা। যে গোয়েন্দা সৃষ্টি হয়েছে তাঁরই কলম থেকেই। ছবির নাম ‘রিভলবার রহস্য’। প্রসঙ্গত, সুব্রতর চরিত্রে অভিনয় করছেন সুপ্রভাত দাস। তাঁকে দেখেই অঞ্জন দত্ত নিজের গোয়েন্দাকে তৈরি করেছিলেন। এই ছবির ট্রেলারটি একটু অন্য রকম। গোটা ট্রেলার গোয়েন্দা জানান, তিনি নাকি কখনও গোয়েন্দা হওয়ার কথা ভাবেননি। ট্রেলারে গোয়েন্দা আরও জানান যে, ম্যাজিক দেখিয়ে নাকি তাঁর জীবন কেটে যেতে পারত। কিন্তু আচমকাই তাঁর জীবনের গতিপথ পাল্টে যায়। একজনের পাল্লায় পড়েই তাঁর জীবন বদলায়। ম্যাজিশিয়ান থেকে তিনি গোয়েন্দা হয়ে ওঠেন। এই সংলাপের মধ্যেই স্পষ্ট যে তিনি স্বেচ্ছায় নয় পরিস্থিতির চাপে পড়েই গোয়েন্দা হয়ে উঠেছেন।
তবে তিনি এখানে শুধু গোয়েন্দাই হননি কেস সমাধান করতে গিয়ে প্রেমেও পড়ে যান।

‘রিভলবার রহস্য’ আদতে একটা সাদামাটা গোয়েন্দার গল্প। একজন সাধারণ ক্রাইম রিপোর্টার তাঁর চাকরি হারিয়ে ‘ড্যানি ডিটেকটিভ আইএনসি’ নামে একটি ডিটেকটিভ এজেন্সিতে কাজ শুরু করেন। এক নিখোঁজ মহিলার সন্ধান করতে গিয়ে তাঁর পরিচয় ঘটে জীবনের জটিল অলিগলি, সর্পিল রাস্তা, প্রেম- ষড়যন্ত্রর সাথে। নানান বিপদের সম্মুখীন হতে হয় তাঁকে। আর এই নানান টানাপোড়েনে বদলে যেতে থাকে তাঁর আটপৌরে জীবন। ট্রেলারের পরতে পরতে রয়েছে অঞ্জনবাবুর গল্প বলার চেনা ম্যাজিক।

PHOTO FROM ANJAN DUTT FACEBOOK PROFILE

‘রিভলবার রহস্য’ ছবির মুখ্য চরিত্রে রয়েছেন সুপ্রভাত দাস, এ ছাড়াও অন্য দুই প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন তনুশ্রী চক্রবর্তী এবং পরিচালক অঞ্জন দত্ত নিজে। এই তিনজন ছাড়াও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় থাকছেন সুজন (নীল) মুখোপাধ্যায়, কাঞ্চন মল্লিক, শোয়েব কবীর, রানা গুহ, সুদিপা বসু, চন্দন সেনের মত শিল্পীরা। নিজের অন্যান্য ছবির মতনই ‘রিভলবার রহস্য’ ছবির পরিচালনার সাথে সাথে ছবির গল্প ও চিত্রনাট্যও লিখেছেন অঞ্জন দত্ত নিজেই। আর গানের দায়িত্ব সামলেছেন ছেলে নীল দত্ত।

ছবির ট্রেলার নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গেছে অঞ্জন অনুরাগীদের মধ্যে। তবে এই নতুন সিনেমা বড় পর্দায় কবে রিলিজ করবে সেটা এখনো জানা যায়নি। এই ছবিতে রয়েছে ভুতের প্রসঙ্গ রয়েছে গান। যা গোয়েন্দা ছবিতে নতুনত্ব হাজির করবে বলেই পরিচালক অঞ্জন দত্তর বিশ্বাস। তাঁর কথায়, ‘আমি থ্রিলার বানিয়ে ক্লান্ত। শেষ বয়সে এসে দর্শককে একটু ভূত, গোয়েন্দা, গান -সব মিলিয়ে বিনোদনের প্যাকেজ উপহার দিতে চাই। তাই এই ছবি।’

তিতাস

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here